,

নবীগঞ্জে ভূমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন আজিজুন নেছা

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে সম্পাদনকৃত দলিলমূলে ১ একর ৫ শতক ভূমি খরিদ করে রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আজিজুন নেছা নামে এক মহিলা। এ প্রতিনিধিকে আজিজুন নেছা জানান, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ভরপুর গ্রামের গ্রীস প্রবাসী মোঃ আবু তাহের পিতা মৃত হাজী আব্দুল লতিফ জীবিত থাকাকালীন সময়ে ২০০৬ সালে তার স্ত্রী আজিজুন নেছার নামে দলিল সম্পাদনমূলে একই গ্রামের তার আত্মীয় আব্দুল্লাহ মিয়ার কাছ থেকে ১ একর ৫ শতক ভূমি খরিদ করেন। এ সময় গ্রামের মুরুব্বীয়ানসহ উক্ত ভূমির দখল আব্দুল লতিফের নিকট সমজিয়ে দেয়া হয়। তখন থেকেই তারা উক্ত আমন রকম ভূমি অদ্যবদি ভোগ করে আসছেন। কিন্তু উক্ত জায়গা রেজিস্ট্রি করার দেওয়ার পূর্বেই জমির মালিক আব্দুল্লাহ মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। আজিজুন নেছার পুত্র গ্রীস প্রবাসী মোঃ আবু তাহের জানান, মৃত্যুর পর থেকেই আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র হায়দর আলীসহ তাদের ওয়ারীসানদের ভূমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য তিনি চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। কিন্তু তারা দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। আমি প্রায় তিনমাস পূর্বে দেশে এসে আমার মায়ের সম্পাদনকৃত ভূমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য হায়দর আলী এবং সরিকানদের সাথে যোগাযোগ করি তারা নানা রকম অজুহাতে বিষয়টি এরিয়ে যান। এনিয়ে আমাদের মধ্যে উত্তেজনা, দাঙ্গা হাঙ্গামা ও মামলা মোকাদ্দমার উপদ্রব হলে। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উস্থিতিতে বিগত ১৮/১০/১৯ইং তারিখে দুই পক্ষের লোকজনসহ এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের উভয় পক্ষের জবানবন্দী শুনে সালিশ বৈঠকে প্রতিয়মান হয়, আমার মা আজিজুন নেছার খরিদকৃত ভূমি সত্য। হায়দর আলী ও তার সরিকানদের বলা হয় উল্লেখিত ১ একর ৫ শতক আমন রকম ভূমি আমার মা আজিজুন নেছার নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য। সালিশ বৈঠকের পরও জমি রেজীষ্টারী করে দিতে তারা গড়িমসি শুরু করে। এক পর্যায়ে আমরা হায়দর আলী ও তাদের ওয়ারীসানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সিভিল আদালতে আমরা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।


     এই বিভাগের আরো খবর